• ওষুধিতে আপনাকে স্বাগতম
  • নতুন ক্রেতাদের জন্য ১০% ছাড়
৩০-১২-২০২৩

আয়ুর্বেদে আমলা বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। এই আমলা আমাদের শরীরের জন্যও অনেক উপকারী।
ঘরে ঘরে বাড়ছে সুগার রোগীর সংখ্যা। বেশিরভাগ মানুষ টাইপ 2 ডায়াবেটিসে ভোগেন। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। এই রোগের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। ওষুধ খেলে এই সমস্যার সমাধান হয় না। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একই সময়ে, আপনার সঠিক পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে দুবার নিয়মিত হাঁটাও উচিত। ক্যালোরি পরিমাপ করা এবং কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ভেষজের উল্লেখ আছে। এই সবজি নিয়মিত খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে। আর আয়ুর্বেদের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

আমলা পাউডার- আয়ুর্বেদে আমলার অনেক ব্যবহার রয়েছে। আর এই আমেলা আমাদের শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। আমলায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনাকে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আমলায় ক্রোমিয়ামও রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন। এটি ইনসুলিন শোষণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন সকালে আমলকির গুঁড়া কুসুম গরম পানির সাথে খান।

দারুচিনি পাউডার- চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দারুচিনিও বেশ কার্যকরী। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। দিনে অন্তত তিনবার এই জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শরীর থেকে অনেক সমস্যাও দূর হয়।

মেথি গুঁড়া- ভারতীয় হেনশেলের জন্য মেথি একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা। মেথি অনেক খাবারে ব্যবহার করা হয়। এই মেথি সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। মেথি গুঁড়োও খেতে পারেন। ফুটন্ত মেথি এবং সেন্ট. জন এর মূল্য একত্রে পানিতে মিশিয়ে এই পানি পান করারও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।

সাজানা পাউডার- সজনের কান্ড, পাতা ও ফুল উপকারী। এছাড়াও এর বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। এই পাউডারটি দক্ষিণ ভারতেও বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সায়ান পাতা শুকিয়ে পিষে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ এই গুঁড়ো কুসুম গরম পানির সাথে খান। এতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ত্রিফলা – আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই ত্রিফলা। এই ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্ত্রের যাবতীয় সমস্যায় কার্যকর। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু ত্রিফলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস, তাই এই মিশ্রণটি শরীরের চাপ কমাতেও সাহায্য করে।