ওমেগা ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা:
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- আর্থাইটিস থেকে রক্ষা করে
- এটি হার্ট অ্যাটক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে থাকে
- ডিমেনসিয়া থেকে বাঁচায়
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় (কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার এবং প্রস্টেট ক্যান্সার)
- বিষন্নতা কমায়
- ভাল কলস্টেরল তথা এইচডিএল কোলস্টেরেলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে
- অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের ঝুঁকি কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- রক্তনালি, জয়েন্ট এবং অন্যস্থানের প্রদাহ কমায়
- চুলের গোড়া শক্ত করে
- চুল মজবুত করে
- রক্তে ট্রাইগ্লসারাইডের পরিমাণ কমায়
- রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমায়
- অল্প সময়ে চুল বড় করে
- খুশকি, স্ক্যাল্পের শুষ্কতা, এবং ড্রাই হেয়ার ফলিকল দমন করে
- চুলের সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করে
- সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চুল ও স্ক্যাল্পকে বাঁচায়
- স্কিনকে র্যাশ, ফোস্কা, বা ক্ষত থেকে ত্বক রক্ষা করে
- শরীরে টেস্টোস্টেরন এবং অ্যান্ড্রোজেন হরমোনকে ব্যালেন্সড রাখে
- ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়
- স্কিনকে রাখে ময়েশ্চারাইজড এবং নরম
- ত্বকের বলিরেখা কমায়
- ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করে
- চর্বি প্রদাহ কমায়
- রক্তচাপের তীব্রতা কমায়
ওমেগা ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম:
ওমেগা ৩ ক্যাপসুল প্রতিদিন দুপুর খাওয়ার পর একটি করে ক্যাপসুল খেতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। কারণ এই ক্যাপসুল সেবনে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা, বয়স এবং রোগের মাত্রা নির্ণয় করে ডোজ নির্ধারিত করে দিবেন।
ওমেগা ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার অপকারিতা:
- হজমের সমস্যা (ডায়রিয়া, বদহজম, পেটে অস্বস্তি বা ফোলাভাব)
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
- মাথা ব্যথা
- রক্ত-পাতলা করতে পারে
- ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- রক্তে শর্কার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে
- ক্রমাগত আঁশটে গন্ধযুক্ত ঢেকুর ওঠে
শরীরের ভিতরে নানা কাজকর্ম চালাতে যে সব পলিস্যাচুরেটে়ড ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই ওমেগা থ্রি। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি-র চাহিদা মেটাতে খাওয়ার দিকে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। স্যামন, টুনা-সহ নানা সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে থাকে। তা ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স বীজেও এই ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল মাত্রায় থাকে। ওমেগা থ্রি-র চাহিদা মেটাতে অনেকেই আবার ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুলও খেয়ে থাকেন।